ছবিঘর
রবিবার, ১২ ফেব্রুয়ারী, ২০১২
আমাদের পাবনা
Description:
পাবনা সদরের দিলালপুর চৌধুরীবাড়ি মসজিদের গায়ে স্ট্যাকো অলঙ্করণ । উনবিংশ শতকের মাঝামাঝিতে আজিমউদ্দিন চৌধুরী মসজিদটি নির্মাণ করেন ।
:
Description:
পাবনার অন্যতম এক আকর্ষণ এটি । জোড়বাংলা মন্দির । মুর্শিদাবাদের নবাবের এক তহশীলদার ব্রজমোহন ক্রোড়ী আঠার শতকের মধ্যভাগে এ মন্দিরটি নির্মাণ করেন । মন্দিরটি বাহির থেকে দেখতে দুইটি জোড়া লাগানো দোচালা কুঁড়েঘরের মতন ।
Description:
জোড়বাংলা মন্দিরের প্রবেশদ্বার :
Description:
জোড়বাংলা মন্দিরের -দ্বারের স্থাপত্য-কর্ম
Description:
সুজানগর উপজেলার তাতিবন্দের জমিদার বাড়ি । উপেন্দ্রনারায়ণ চৌধুরী ছিলেন এ জমিদার বংশের প্রতিষ্ঠাতা । জমিদার বাড়িটি ছিল প্রায় পঁচিশ বিঘা জমির উপর । তাতিবন্দ ছিল পাবনার অন্যতম একটি সমৃদ্ধ জনপদ ।
Description:
দুলাই চৌধুরী জমিদার বাড়ির প্রবেশ পথ ।উনিশ শতকের প্রথম দিকে এ জমিদার বাড়ির গোড়া পত্তন হয় । বাড়িটি চারদিকে পরিখা বেষ্টিত ।
Description:
শীতলাই জমিদারদের কর্তৃক পাবনা শহরে নির্মিত শীতলাই হাউজ ।
Description:
নীলকুঠি। এটা উনিশ শতকে পাবনা সদরে নির্মিত ।
Description:
তাড়াশ জমিদার ভবনের অলঙ্কৃত ক্যাপিটাল
Description:
পাবনা শহরের সবচেয়ে নামকরা জমিদার পরিবার এটি ।বনমালী রায়বাহাদুরের এই বিল্ডিংটি এখনো অক্ষত অবস্থায় রয়েছে ।
:
Description:
পাবনা জুবিলি ট্যাংক । ইংরেজ শাসনামলে মহারাণী ভিক্টোরিয়ার রাজত্বকালের সিলভার জুবিলি স্মরণে ১৮৮৭ সালে এ ট্যাংকটি খনন করা হয় ।
Description:
পাবনার অন্যতম বড় আকর্ষণ এই হার্ডিঞ্জ ব্রীজ । শুরুতে এর নাম ছিল সাড়া ব্রীজ ।পদ্মা নদীর উপরে নির্মিত এই রেইল-ব্রীজটি ১৯১৫ সালে ভাইসরয় লর্ড ব্যারন হার্ডিঞ্জ আনুষ্ঠানিক ভাবে উদ্বোধন করেন ।
Description:
পদ্মার নয়নভিরাম দৃশ্য
Description:
Add a description
Description:
ফরিদপুরের রাজবাড়ীঃ ফরিদপুরের জমিদার ও রাজবাড়ী উপজেলার ঠিক কেন্দ্রস্থলে কিংবদন্তী হয়ে রয়েছে। সিরাজগঞ্জের তাডাশের জমিদার বনওয়ালী লাল রায় তাড়াশ থেকে পাবনা যেতেন ফরিদপুর চিকনাই নদী দিয়ে ঢুকে ইছামতি দিয়ে। বনওয়ালী লাল রায়ের পূর্ব পুরুষ ছিলেন ‘‘চৌধুরাই তাড়াশ’’ এর জমিদার বাসুদেব তালুকদার। তিনি ঢাকার ইসলাম খার সরকারী চাকুরী করতেন। নবাব তার কাজে সন্তুষ্ট হয়ে ‘‘চৌধুরাই তাড়াশ’’ নামক সম্পত্তি তাকে জায়গীর হিসাবে দান করে ‘‘রায় চৌধুরী’’ উপাধি দেন। তৎকালীন পরগা কাটার মহল্লা রাজশাহীর সাতৈলের রাজার জমিদারী ছিল। এর ২০০ মৌজা নিয়েই ‘‘চৌধুরাই তাড়াশ’’ জমিদারী সৃষ্টি হয়। ফরিদপুর থানার বর্তমান বনওয়ারী নগর এলাকা গভীর বন জঙ্গলে পরিপুর্ণ শিকার উপযোগী স্থান হওয়ায় মাঝে মধ্যেই বনওয়ারী লাল রায় এ স্থানে শিকার করতে আসতেন। জনশ্রুতি রয়েছে, ষোড়শ শতাব্দীর একেবারেই শেষ দিকে লাটের খাজনা দিতে পাবনা যাওয়ার পথে ফরিদপুর থানার বর্তমান রাজবাড়ীর স্থলে বনওয়ারী লাল বিশ্রামের জন্য তাবু খাটান। বিশ্রামের সময় জঙ্গলের পার্শ্বে ‘‘ভেঙ কর্তৃক সর্প ভক্ষণের’’ দৃশ্য দেখলেন। এ দৃশ্য দেখে স্থানটি অতীব সৌভাগ্যের মনে করে তিনি তাড়াশের জমিদার বাড়ীর অনুরূপ চারদিকে দীঘি খনন করে মাঝখানে সুন্দর বাড়ী নির্মাণ করে তার নাম অনুসারে এ স্থানের নাম বনওয়ারী নগর রাখেন। পরে তাড়াশ থেকে জমিদারির প্রধান অংশ বনওয়ারী নগরে হস্তানন্তর করেন। জমিদার বনওয়ারী লাল রায়ের স্থাপত্য শিল্পে যে প্রখর জ্ঞান ছিল তার প্রমাণ মেলে তারই নির্মিত চারদিকে দীঘি বেষ্টিত একমাত্র প্রবেশ পথ সমৃদ্ধ রাজবাড়ীটির স্থান নির্ধারণ, গঠন ও নির্মাণ শৈলী দেখে। প্রবেশ পথ দিয়ে রাজবাড়ীতে ঢুকতেই হাতি, তীরন্দাজ, ময়ূর ইত্যাদির মুর্তি খচিত গেট বিল্ডিং খুবই চিত্তাকর্ষক। গেট দিয়ে ঢুকে ডান দিকে জমিদারের একতলা রাজস্ব অফিস। এখানে জমিদারের খাজনা আদায় ও প্রজাদের অভাব অভিযোগ শ্রবণের কাজ হতো। বিল্ডিংটির সুন্দর কারুকাজ এবং গাম্ভীর্য এতই গভীর যে, এখানে ঢুকলে বাসতবিকই দূর অতীতের রাজাদের আমলে মন ফিরে যায় এবং নিজেকে জমিদার বলে খানিকটা ভাবতে ইচ্ছে হয়। এ বিল্ডিং থেকে প্রয় ১শ গজ দক্ষিণ পশ্চিম কোণে দোতলা বিল্ডিংটি ছিল কয়েদ খানা এবং টাক শাল। এখানে মোটা মোটা লোহার গ্রিল ও দরজা এবং অন্ধকার কুঠুরি জমিদারদের নিষ্ঠুর অত্যাচারের কথা স্মরণ করে দেয়। যদিও এ জমিদার তেমন প্রজাপীড়ন করেননি। ডান পাশে মাটির নীচে লোহার সিন্দুকে রাজস্ব আদায় করে রাখা হতো। জানা যায়, উপজেলা পদ্ধতি চালুর পূর্বে বিল্ডিং সংস্কার করার সময় এই সিন্দুকে প্রায় ২৫ লাখ টাকা মূল্যের কাঁচা ধাতব মুদ্রা পাওয়া যায়। বর্তমানে এ বিল্ডিংটি সমাজসেবা, প্রকল্প বাসতবায়ন এবং আনসার ও ভিডিপি অফিস হিসাবে ব্যবহ্নত হচ্ছে। এটি থেকে প্রায় ১শ গজ দক্ষিণে জমিদারের মুল বাসভবন। বাসভবন সংলগ্ন দক্ষিণে দীঘির পানির মধ্যে তিনটি ধাপে ছাদবিহীন বিল্ডিংয়ের মত গোসলখানা ও রানীর ঘাট। জমিদার পরিবারের মেয়েদের আভিজাত্য এবং কড়াকড়ি পর্দার কারণে এ রকম গোসলের ঘাট তৈরী হয়। মূল ভবন এখন উপজেলা নির্বাহী অফিসারের বাসা। সংস্কারের ফলে বিল্ডিংয়ের কারুকাজ ও নকশা পরিবর্তন করা হয়েছে। মূল বাসভবনের অনতি দুরেই দিঘির পাড় সংলগ্ন দক্ষিণ মুখী জমিদারের হাওয়া খানা। বর্তমানে এটি উপবৃত্তি অফিসারের অফিস হিসাবে ব্যবহ্নত হচ্ছে। এর ১শ গজ পূর্বে একসঙ্গে লাগানো একতলা বিনোদবিগ্রহ মন্দির ও দোতলা নাট্য মন্দির। এ মন্দির দুটির বৈশিষ্ট হলো, এর গায়ে ছিল হাতি, ঘোড়া, সাপ, তীরন্দাজ খচিত মূর্তি সম্বলিত বিভিন্ন ধরণের অপূর্ব নকশা। নাট্য মন্দিরের দোতলায় বসেই বিনোদবিগ্রহ মন্দিরের সকল পূজার্চনা ও নাট্য মন্দিরের নাচগান ও অভিনয় দেখা যেত। সুদূর কলকাতার অভিনেতা ও জমিদাররাও এখানে আসতেন এবং অভিনয় করতেন। বর্তমানে এটি অফিসার্স ক্লাব হিসাবে ব্যবহ্নত হচ্ছে। রাজবাড়ী থেকে প্রায় এক হাজার গজ পূর্ব দিকে জমিদারের প্রতিষ্ঠিত দুধ সাগরের পশ্চিম দক্ষিণ পাড় প্রজাদের শিক্ষানুরাগী করে তোলার জন্য প্রতিষ্ঠা করেন সরোদ গনপাঠাগার। পাঠাগারটির বৈশিষ্ট হলো, এর চারিদিকে খোলা বারান্দা, দরজা ও জানালা। দক্ষিণ দিকে তৎকালে ১০/১২ মাইল পর্যন্ত কোন গ্রাম ছিলনা। ................................................এর সাথে আরও কিছু মজার ঘটনা আছে যা পরে পোস্ট করা হবে।
Description:
**সাঁথিয়ার ক্ষেতুপাড়া জমিদার বাড়িটি ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে** সাঁথিয়া উপজেলার ঐতিহাসিক ক্ষেতুপাড়া জমিদার বাড়িটি দীর্ঘদিন সংস্কার না করায় বর্তমানে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে এসে দাড়িয়েছে। জানাযায়, আজ থেকে প্রায় ২’শ বছর আগে ভারত থেকে নব কুমার নামের এক জমিদার এ দেশে এসে সাঁথিয়া উপজেলার ক্ষেতুপাড়া ইউনিয়নের গোলবাড়ি গ্রামে অবস্থান নেন। সেখানে তিনি নয় বিঘা জমির উপর তৈরী করেন একটি বাড়ি।এবং ১৫৪ টি তৌজি নিয়ে তার জমিদারীত্ব পরিচালনা করতে থাকেন। জমিদার নব কুমার রায় মারা যাবার পর তাঁর এক মাত্র পুত্র পার্বতী চরণ রায় ৬০ বছর এখানে জমিদারী করেন। জমিদার নব কুমার সম্বন্ধে তেমন কিছু জানা না গেলেও তার তার এক মাত্র পুত্র পার্বতী চরণ রায় সম্বন্ধে জানা যায় তিনি ভারতের কাশীতে বিবাহ করেন। বিবাহিত জিবনে চার পুত্র সন্তানের জনক ছিলেন তিনি। পুত্রগন হলেন হেমন্ত রায়, বামাচরণ রায়, শ্যামা চরণ রায় এবং বামাচরণ রায়। বাবা পার্বতী চরণ রায় মারা যাবার পর তিন পুত্র ভারতে চলে গেলেও এক পুত্র শ্যামা চরণ রায় পাবনাতেই থেকে যান। শ্যামাচরণ রায় মারা যাবার পর তার একমাত্র পুত্র দীপক কুমার রায় সংসারের দায়িত্ব ভার গ্রহন করেন। এক পর্যায় দীপক কুমার জমিদার বাড়িটি বিক্রয় করার ঘোষনা দিলে বর্তমানের সিরাজগঞ্জ জেলার শাহজাদপুরের সন্ধারাণী বাড়িটি ক্রয় করেন। বর্তমানে বাড়িটিতে সন্ধারানীর চার পুত্র উত্তম কুমার, গৌতম কুমার, অরুন কুমার এবং অলক কুমার বসবাস করছে। সন্ধারাণী বাড়িটি ক্রয় করার পর ১৯৩৮ সালে একবার বাড়িটি সংস্কার করা হয়েছিল। বর্তমানে বাড়িটিতে বসবাসকারী গন অর্থ অভাবে সংস্কার করতে পারছে না। আর বাড়িটি সংস্কার করা না হলে অচিরেই হাড়িয়ে যাবে ঐতিহাসিক এই জমিদার বাড়ির শেষ চিহ্ন টুকু।
Where:
In this photo:
Description:
Add a description
Description:
Add a description
:
Description:
**সাঁথিয়ার ক্ষেতুপাড়া জমিদার বাড়িটি ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে** সাঁথিয়া উপজেলার ঐতিহাসিক ক্ষেতুপাড়া জমিদার বাড়িটি দীর্ঘদিন সংস্কার না করায় বর্তমানে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে এসে দাড়িয়েছে। জানাযায়, আজ থেকে প্রায় ২’শ বছর আগে ভারত থেকে নব কুমার নামের এক জমিদার এ দেশে এসে সাঁথিয়া উপজেলার ক্ষেতুপাড়া ইউনিয়নের গোলবাড়ি গ্রামে অবস্থান নেন। সেখানে তিনি নয় বিঘা জমির উপর তৈরী করেন একটি বাড়ি।এবং ১৫৪ টি তৌজি নিয়ে তার জমিদারীত্ব পরিচালনা করতে থাকেন। জমিদার নব কুমার রায় মারা যাবার পর তাঁর এক মাত্র পুত্র পার্বতী চরণ রায় ৬০ বছর এখানে জমিদারী করেন। জমিদার নব কুমার সম্বন্ধে তেমন কিছু জানা না গেলেও তার তার এক মাত্র পুত্র পার্বতী চরণ রায় সম্বন্ধে জানা যায় তিনি ভারতের কাশীতে বিবাহ করেন। বিবাহিত জিবনে চার পুত্র সন্তানের জনক ছিলেন তিনি। পুত্রগন হলেন হেমন্ত রায়, বামাচরণ রায়, শ্যামা চরণ রায় এবং বামাচরণ রায়। বাবা পার্বতী চরণ রায় মারা যাবার পর তিন পুত্র ভারতে চলে গেলেও এক পুত্র শ্যামা চরণ রায় পাবনাতেই থেকে যান। শ্যামাচরণ রায় মারা যাবার পর তার একমাত্র পুত্র দীপক কুমার রায় সংসারের দায়িত্ব ভার গ্রহন করেন। এক পর্যায় দীপক কুমার জমিদার বাড়িটি বিক্রয় করার ঘোষনা দিলে বর্তমানের সিরাজগঞ্জ জেলার শাহজাদপুরের সন্ধারাণী বাড়িটি ক্রয় করেন। বর্তমানে বাড়িটিতে সন্ধারানীর চার পুত্র উত্তম কুমার, গৌতম কুমার, অরুন কুমার এবং অলক কুমার বসবাস করছে। সন্ধারাণী বাড়িটি ক্রয় করার পর ১৯৩৮ সালে একবার বাড়িটি সংস্কার করা হয়েছিল। বর্তমানে বাড়িটিতে বসবাসকারী গন অর্থ অভাবে সংস্কার করতে পারছে না। আর বাড়িটি সংস্কার করা না হলে অচিরেই হাড়িয়ে যাবে ঐতিহাসিক এই জমিদার বাড়ির শেষ চিহ্ন টুকু।
পুরাতন পোস্টসমূহ
হোম
এতে সদস্যতা:
পোস্টগুলি (Atom)